নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় দায়ের মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ইউএনও মুনিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বরিশাল সিটি করপেরেশনের মেয়রকে আসামি করে মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার দক্ষিণ আলী আশরাফ মিঞা। তিনি বলেন, বুধবার রাতে সরকারি বাসভবনে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে ২৮ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের লিখিত অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতয়ালি থানায় আসেন কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর লিখিত অভিযোগটি আইনগত বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে এজহার হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়। মামলায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭০-৮০ জন ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
বরিশাল সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে বুধবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। রাতে দুই দফায় জেলা ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতাকর্মী ইউএনওর বাসভবনে হামলা চালান বলে অভিযোগ ইউএনও। হামলায় ইউএনও’র বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হন। ছাত্রলীগের দাবি, এ সময় তাদের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়।
Leave a Reply