ঈশ্বরদীর বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যা কারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনের সড়কে এসব কর্মসূচী পালন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা-জনতা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস।
বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, ঈশ্বরদী পৌর আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস, বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম রফিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা হবিবুল ইসলাম হব্বুল, আ’লীগ নেতা রেজাউল করিম রাজা, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মুরাদ আলী মালিথা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মাসুদ রানা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার আহবায়ক আব্দুর রহমান মিলন, নিহত মুক্তিযোদ্ধা সেলিমের মেয়ে অন্তরা রহমান ও সানজানা রহমান তৃপা প্রমূখ। অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু। প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীতে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় পুরো ঈশ্বরদী অচলের হুমকি দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত: ২০১৯ সালের ৬ ফেব্র“য়ারী রাত ৯ টার দিকে পাকশীর রূপপুর বিবিসি বাজার সংলগ্ন নিজ বাড়িতে ঢোকার সময় অন্ধকারে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তরা পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে ল করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। সে সময় তার শরীরে একাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১০.২০ মিনিটের সময় শহরের পোষ্ট অফিস মোড় অতিক্রম করার সময় তার মৃত্যু হয়। সেলিম হত্যার পরের দিন থেকেই আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধাদের লাগাতার বিােভ, প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ, অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।