ঈশ্বরদীতে সোনিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী সৌদি ফেরত রুবেল হোসেন পলাতক রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের পৌর এলাকার পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটলেও দুপুরে সেখান থেকে গৃহবধু সোনিয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। সোনিয়া ঝিনাইদহ জেলার মোহেশপুরের হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন। অভিযুক্ত স্বামী রুবেল হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা। হামিম নামের তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে তাদের।
বাড়ির মালিক একরাম আলী বুদু জানান, বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ স্বজনরা এসে দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাট ভাড়া নেয়। রাতে রান্না করে খাওয়া দাওয়াও করে তারা। সকাল ৮টার দিকে বাসার দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকে দেখতে পাই সোনিয়ার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় পরনে বোরকা ছিল। গলা ও পেটে ছুরিকা ঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের খালাতো বোন নারগিস খাতুন জানান, সোনিয়া তাকে মুঠোফোনে জানিয়েছে তার স্বামী রুবেল সৌদি আরব থেকে দেশে এসেছে। রুবেল আসার পর বুধবার দুপুরে তারা বাবুপাড়ায় বাসা ভাড়া নেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একজন মুঠোফোনে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর জানায়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পাবনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ঈশ্বরদীর ভারপ্রাপ্ত সার্কেল রোকনুজ্জামান সরকার জানান, সোনিয়া খাতুনের গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় সিআইডি ও পিবি আই আলামত সংগ্রহ করেছে।
Leave a Reply