ঈশ্বরদীতে উৎপাদিত বিপুল পরিমান অবৈধ পলিথিনসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে কাশিনাথপুর ফাঁড়ি পুলিশ। এসময় তাদের সাথে থাকা অবৈধ পলিথিন বহনকারী একটি কার্ভাড ভ্যানও জব্দ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি চৌকসদল ৪০ কেজি ওজনের মোট ১৬৬ টি বস্তা উদ্ধার করেন। যার আনুমানিক ওজন ১৬৬ মন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৩,২৮০০০/= তের লক্ষ আটাশ হাজার টাকা। এ সময় অবৈধ পলিথিন বহন করার দায়ে পাবনা জেলার আমিনপুর থানার চরকান্দি গ্রামের মোঃ সাত্তার আলীর ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪০) এবং ঈশ্বরদী উপজেলার মশুড়িয়া পাড়া এলাকার মোঃ আঃ রাজ্জাকের ছেলে মোঃ লিখন (২৬) কে গ্রেফতার করা হয়।
কাশিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই তোজাম্মেল জানান, ঈশ্বরদী উপজেলার পৌরসভার শৈল পাড়া এলাকার শিপন প্যাকেজিংয়ের অবৈধ পলিথিনসহ দুইজনকে এবং বহনকরা একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত পলিথিন জব্দ দেখিয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল দুপুরে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার শৈলপাড়ায় অবৈধ পলিথিন কারখানায় অভিযান চালিয়ে পলিথিন কারখানার মালিক শৈলপাড়া এলাকার মোঃ নওফেল মালিথার ছেলে শিপনকে গ্রেফতারসহ তার কারখানা সিলকরে দেন পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার সে সময় এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছিলেন, দীর্ঘদিন থেকে শিপন অবৈধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিলেন। পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে সত্যতা মেলে। এসময় অভিযান চালিয়ে পলিথিন তৈরির কাঁচামাল ও মেশিনপত্রসহ সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ। সে সময় কারখানার মালিক শিপনকে আটকও করা হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে শিপন তার এই অবৈধ এবং নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন এবং বাজার জাত কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষে নতুন করে আরও কয়েকটি বিদেশী অত্যাধুনিক মেশিন সংযুক্ত করেছেন তার কারখানায় এবং পূর্বের চেয়েও অধিক পরিমান উৎপাদন করে নিষিদ্ধ পলিথিনে বাজার সয়লাব করে চলেছেন বীরদর্পে। পরিবেশের জন্য হুমকি এবং রাষ্ট্রে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই পলিথিন উৎপাদন এবং তার বাজারজাতকরণ কার্যক্রম শিপন কিভাবে নিবিঘ্নে করে যাচ্ছেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তারা বলছেন, পলিথিন সম্রাট শিপনের খুঁটির জোর কোথায়?
Leave a Reply