বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকসহ একাধিক জাতীয় পদকপ্রাপ্ত ঈশ্বরদীর নারী কৃষক নুরুন্নাহার বেগমের ভাবমূর্তি নষ্ট ও তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গ্রামের একজন সাধারন নারী কৃষক হয়ে জাতীয় পর্যায়ে ‘কৃষিতে গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিত্ব’ (এ আই পি) হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করার পর থেকে তাঁকে নানাভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার বক্তারপুর গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর স্বামী রবিউল ইসলাম ও বড় ছেলে প্রকৌশলী রায়হান কবির হিরকসহ কয়েক’শ নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখা সফল নারী উদ্যোক্তা ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জাতীয় কৃষক নুরুন্নাহার বেগম বলেন, আমার এই সাফেল্যের পেছনে ঈশ্বরদীর সাংবাদিকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমি সাংবাদিকদের নিকট অনেক কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, সরকারের মুল্যায়ন ও জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জন করার পর থেকে এলাকার কতিপয় মানুষ আমাকে ‘নারী হয়ে কেন এসব করতে হবে’ Ñ এমন কটু কথা বলে আমাকে বারবার হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন। আমি এসব কটু কথাকে আমলে না নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কৃষির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বড় ছেলে প্রকৌশলী রায়হান কবির হিরক বলেন, চার দেয়ালের গণ্ডি পেরিয়ে আমার মা নুরুননাহার বেগম একজন সমাজ উন্নয়ন কর্মী ও সফল নারী উদ্যোক্তা। নিবিড় সবজি, ফলমূল, পোল্ট্রি ও গাভির খামার করে এলাকার নারীদের কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এ আই পি) হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে পেয়েছেন স্মারক সম্মাননা। অজোপাড়া গ্রামে ‘জয় বাংলা নারী উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে গ্রামের কয়েক হাজার নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। আমার ও মায়ের ভালো কাজের ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা অন্যায় করে থাকলে আপনারা সঠিক তথ্য উদঘাটন করে সত্য সংবাদ প্রকাশ করেন, বিচার করেন।’ আমি মাথা পেতে নেব।
সম্প্রতি রুপপুর প্রকল্পের গ্রীণসিটিতে চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর ছেলে রায়হান কবির হিরক বিভিন্ন যুবকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ইশ্বরদীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply