শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঈশ্বরদীতে ব্র্যাক এর উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত পাকশীতে যুবলীগ কর্মী মানিককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা ঈশ্বরদীতে দুই শতাধিক কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা দিল কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশন ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪৫ বছরের বসত বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভাংচুর ও বাড়ি দখলের অভিযোগ! ঈশ্বরদীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন- বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ঈশ্বরদীতে বিএনপি’র বিশাল আনন্দ মিছিল ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে গুলি ও হামলা মামলায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর জামিন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের পূর্বের নির্বাচিত কমিটি পুনর্বহাল আতংকে পদ্মা পাড়ের মানুষ স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী মেহেদীর নেতৃত্বে বিশাল শোভাযাত্রা
শিরোনাম :
ঈশ্বরদীতে ব্র্যাক এর উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত পাকশীতে যুবলীগ কর্মী মানিককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা ঈশ্বরদীতে দুই শতাধিক কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা দিল কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশন ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪৫ বছরের বসত বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভাংচুর ও বাড়ি দখলের অভিযোগ! ঈশ্বরদীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন- বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ঈশ্বরদীতে বিএনপি’র বিশাল আনন্দ মিছিল ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে গুলি ও হামলা মামলায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর জামিন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের পূর্বের নির্বাচিত কমিটি পুনর্বহাল আতংকে পদ্মা পাড়ের মানুষ স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী মেহেদীর নেতৃত্বে বিশাল শোভাযাত্রা

 

ঈশ্বরদীতে রিকশা চালককে গুলি করে হত্যা ॥ পৌর কাউন্সিলরসহ ভাতিজা আটক ॥ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ

সকাল প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২০১ বার

ঈশ্বরদীতে বেপরোয়া গতিতে ভুটভুটি ও লেগুনা চালানো নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে গুলিতে ব্যাটারিচালিত এক রিকশা চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দু’জন। গত বুধবার রাতে শহরের বিমানবন্দর সড়কের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিকশা চালকের নাম মামুন হোসেন (২৫)। সে শহরের পিয়ারাখানী জামতলা এলাকার মানিক হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় গুলিতে আহত হয়েছেন একই এলাকার শরিফ হোসেনের ছেলে রিকশাচালক রকি (২৬) ও ছুরিকাঘাতে আহত ওই এলাকার বাবু হোসেন ওরফে বরকি বাবুর ছেলে সুমন (২৮)। গুলিবিদ্ধ ও আহত দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় দোকানীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে একটি ভুটভুটি ও লেগুনা বেপরোয়া গতিতে চলাচল নিষেধ করেন কড়ইতলার দোকানি ও স্থানীয়রা। এ নিয়ে লেগুনা চালকের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত দোকানি ও রিকশাচালকদের বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে লেগুনা চালকের পক্ষে ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন কামালের ছোট ভাই আনোয়ার উদ্দিন তিন-চারটি মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে এসে ওই দোকানি ও রিকশাচালকদের ওপর চড়াও হন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক তর্কাতর্কি হাতাহাতি হয়। এতে কড়ইতলা থেকে কাচারিপাড়া মসজিদ মোড় পর্যন্ত মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। মারামারির একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে রিকশাচালক মামুন ও রকি হোসেনকে গুলি করেন। এতে মামুন লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। পরে আনোয়ারের সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রহিমা ফেরদৌস বলেন, আহতদের অবস্থা ভালো না হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠান হয়েছে বলে তাদের পারিবারিক সূত্রগুলো দাবি করেছেন।
এদিকে রিকশা চালককে গুলিতে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ কর্মী আনোয়ার উদ্দিনের বড় ভাই ও তার ছেলেকে ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য’ পরিচয়ে আটক করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে আনোয়ারের বড় ভাই যুবলীগ নেতা ও ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড় কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন কামাল এবং আনোয়ারের ছেলে হৃদয় হোসেনকে তাদের শৈলপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক’ আটক করে নিয়ে গেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনে স্ত্রী শারমিন সুলতানা স্বপ্না বলেন, বুধবার গভীর রাতে কয়েকজন সিভিল পোশাকে লোক আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে আমাদের বাসায়। তাদের সাথে পোশাক পড়া পুলিশও ছিল। তারা আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে চলে গেছে। সেইসঙ্গে তার ভাতিজা হৃদয় হোসেনকেও ধরে নিয়ে তারা। তবে কী কারণে, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে সেটাও বলেননি তারা। তবে ঈশ্বরদী থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সংস্থা দু’জনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, আমার জানা মতে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ কাউকে আটক করেনি। পাবনা জেলা ডিবি পুলিশের দাবি, রিকশা চালক খুনের ঘটনায় ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছেন, কিন্তু কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি। তবে তারা অভিযুক্ত আনোয়ারকে খুঁজতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
অপর দিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে লাশের ময়না তদন্ত করা হলেও থানা চত্বরে লাশ রেখে বিক্ষোভ করে নিহত মামুনের স্বজনেরা। তারা থানার ভেতর ও থানার প্রধান ফটকের সামনে কাউন্সিলর কামাল ও তার ভাই আনোয়ার এর ফাঁসির দাবী করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মামলা হয়নি সন্ধ্যা পর্যন্ত।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার আরও বলেন, রাতে পুলিশের সাড়াঁশি অভিযান হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এজাহার দাখিল হলেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..