ঈশ্বরদীতে নিজ শয়নকক্ষে হাজেরা খাতুন (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে নিজ শয়নকক্ষ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। সোমবার উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইলে ঈশ্বরদী ইপিজেড মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাজেরা খাতুন রাজশাহী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক ও লেখক প্রয়াত মোহম্মদ হবিবুল্লাহ’র স্ত্রী। তিনি পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হবিবুল ইসলাম হব্বুলের আপন বোন।
সোমবার রাতে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ঘরের তালা ভেঙ্গে নিহতের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা রাতে লাশটি উদ্ধার করেন।
নিহত হাজেরা খাতুনের ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হবিবুল ইসলাম জানান, নিহত হাজেরা খাতুনের ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়ে বিদেশে এবং অন্যান্যরা ঢাকায় বসবাস করেন। হাজেরা খাতুন মাঝে মাঝে ঢাকা এবং ঈশ্বরদীতে নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন। সোমবার দুপুরের দিকে তাকে বাড়ির আঙিনার বাগানে ঘুরতেও দেখা গেছে। বিকেলের দিকে ঢাকা থেকে তার মেয়েরা ফোন করে মাকে না পেয়ে তাদের মামা হবিবুল ইসলাম হব্বুল ও প্রতিবেশীদের জানায়। প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে শোবার ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখে। পরে তারা তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা ঈশ্বরদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। হবিবুল ইসলাম হব্বুল আরো বলেন, ঢাকা থেকে ভাগ্নিদের ফোন পেয়ে মাগরিবের নামাজের পর এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় আমার বোন তার শোবার ঘরে লাশ হয়ে পড়ে আছে। ঘরের আলমারি খোলা এবং কাপড়-চোপড় ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। বোনের লাশ দেখার পর আমার আর কিছু বলার শক্তি নেই।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হাজেরা খাতুনকে কে বা কারা পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সুত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির কাজের মহিলাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply