ঈশ্বরদীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে যুবদলের নেতাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে শহরের রেলগেট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শহরের পশ্চিম টেংরী কাচারী পাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে জাকির হোসেন জুয়েল (৪৪), তাঁর ছোট ভাই মাহমুদ হাসান সোনামনী (৩৮), উপজেলার মধ্য অরণকোলার মহল্লার মোঃ বাবুর ছেলে তরিকুল ইসলাম তারেক (৩২), একই এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (২৮), অরণকোলা পূর্বপাড়া এলাকার হাচেন মোল্লার ছেলে মামুন হোসেন (৩৫) ও পূর্ব টেংরি গোরস্থান পাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে চয়ন হোসেন সরদার (৪৫)। তাঁদের মধ্যে জাকির হোসেন পৌর যুবদলের আহবায়ক ও মাহমুদ হাসান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে শহরে রেলগেট বন্ধ থাকায় সড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় সড়কের পশ্চিম পাশে বিমানবন্দর থেকে আসা একটি হায়েস গাড়ি আড়াআড়িভাবে দাঁড় করালে সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। তখন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জাহিদ গাড়িটিকে সোজা করে রাখার জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন ‘লাঠিসোটা জড় কর’ বলে দুই পুলিশ সদস্যকে মারপিট করেন। এতে ওই পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনা মধ্যেই কনেস্টবল জাহিদ সোনামনিকে টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে চেকপোস্টে থাকা অন্য সদস্য ও ঈশ্বরদী থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসে দু’জন পুলিশকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। একই সঙ্গে রেলগেট এলাকার মেসার্স জাকারিয়া এন্টারপ্রাইজ অফিসে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে।
ঈশ্বরদী ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক টাউন উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) বাদি হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) হাসান বাসির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply