ঈশ্বরদীতে পুলিশের সঙ্গে যুবদল নেতাদের ধ্বস্তাধ্বস্তি ও ৬ যুবদল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও দায়েরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেককেই বিএনপির গ্রুপিং এর কারনে আসামী করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মেহেদী হাসান। গতকাল সোমবার সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিএনপিতে গ্রুপিং এখন বৃহৎ সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
গত শনিবার রাতে শহরের রেলওয়ে গেটে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মাহমুদ হাসান সোনামনির গাড়ি রাস্তায় দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা সমাধান করতে এসে সোনামনির বড় ভাই পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েলও পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এসময় সোনামনি ফেসবুক লাইভে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্তি প্রচার করতে থাকায় তাকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নেওয়া হয়। মেহেদী হাসান লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, এসব ঘটনা তাদের ব্যাক্তিগত সমস্যা যার সঙ্গে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এসব ঘটনা ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির একটি গ্রুপের সঙ্গে ঘটেছে। অথচ এই ঘটনায় যুবদলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামী করা হয়েছে, যার মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিলন দাস, যুবদল নেতা আরিফ হোসেন ও কামরুজ্জামান রিপনকে নামীয় পলাতক আসামী করা হয়েছে। কিন্তু এই ৩ জনের সঙ্গে ওই গ্রুপের কোন সম্পৃক্ততা নেই, তারা ঘটনার সময় সেখানে ছিলেনও না। এখানে বিএনপির গ্রুপিং স্পষ্ট করতে এক গ্রুপের ঘটনায় অন্য গ্রুপের নেতাদের নাম মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জাকারিয়া এন্টারপ্রাইজের দরজা ভেঙে অফিস থেকে পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েলসহ ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও তাদের বেদম মারপিট করার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে পুলিশের প্রতি আহবান জানানো হয়, তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের চিিহ্নত করে অপরাধীদের শাস্তি দিন, যারা এ ঘটনায় জড়িত নয় তাদের হয়রানী করবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর আবু জাহীদ উজ্জল, বিএনপি নেতা আব্দুল খালেক, রবিউল ইসলাম রবি, রাকিবুল হাসান আলম, যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম তুহিন, রবিউল ইসলাম রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেল খানসহ শতাধিক দলীয় নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply