ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে তাফসির আহম্মেদ মনা (২৪) নামের এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) রাত ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের এমপি’র মোড়ে পাবনা ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে এই ঘটনা ঘটে। মনা ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর পাকার মোড় এলাকার সৌদি প্রবাসী তানজির রহমান তুহিনের ছেলে ও হাতকাটা টুনটুনির আপন ছোট ভাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে তাফসির আহম্মেদ মনা এমপি মোড়ের শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ইকবুল হোসেন নামের এক সহযোগীকে সাথে নিয়ে বসে ছিলেন। এ সময় চার-পাঁচজনের অস্ত্রধারী একদল সন্ত্রাসী মাথায় হেলমেট কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা মনাকে উদ্দেশ্য করে পর পর চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মনাকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই ইকবুল পলাতক বলে জানা গেছে।
নিহতের পারিবারিক সুত্র জানায়, তাফসির আহম্মেদ মনা পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর ফটু মার্কেট সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই নিয়ে স্থানীয় প্রতিপক্ষ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় যুবলীগ কর্মী তাফসির আহম্মেদ মনার পক্ষের অপর যুবলীগ কর্মী শাহিনের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় প্রতিপক্ষ যুবলীগ কর্মী লিটন (৪২), লিখন (৩৮), রাজিব (৩০), শাকিল (২৬), মুক্তার হোসেন (৩৮) রিংকু (৪৫), জুলা লিখন (৩৫) কে আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের পরিবারের দাবী উক্ত ব্যক্তিরাই পরিকল্পিতভাবে যুবলীগ কর্মী তাফসির আহম্মেদ মনাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ঘটনার পর পরই পাবনা জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অনেক বিষয় সামনে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, একটি মটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনাও এই হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে।
Leave a Reply