ঈশ্বরদীর আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ খায়রুল ইসলামের কাছ থেকে পাওনা এক কোটি টাকা ফেরত সহ তার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ব্যবসায়ী। ঈশ্বরদীর রেজান নগরের জমিদার মরহুম সায়কাতুল ইসলামের ছেলে এ কে এম সাইদুল ইসলাম গত সোমবার বিকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কে এম সাইদুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক সু-সম্পর্কের কারণে গত ১৬/০১/২০২২ ইং তারিখে আলহাজ্ব মোঃ খায়রুল ইসলাম তিন’শ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা এবং চেক প্রদানের মাধ্যমে তার কাছ থেকে ১,০০,০০,০০০/= (এক কোটি) টাকা ধার হিসেবে নেন। সে সময় খায়রুল ইসলাম তার নিজ নামীয় দুটি জমির মূল দলিলসহ বিভিন্ন কাগজপত্রও তার কাছে জমা রাখেন। লিখিত অঙ্গীকার নামায় খায়রুল ইসলামের পক্ষে জামিনদার হিসেবে স্বাক্ষর করেন তার স্ত্রী মোছাঃ মর্জিনা বেগম। আর তার পক্ষে জামিনদার হিসেবে স্বাক্ষর করেন বড় ভাই এ কে এম সফিউল ইসলাম।
সাইদুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত সময়ের পর টাকা ফেরত চাইলে খায়রুল ইসলাম টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি ও টালবাহানা শুরু করে। এরপর উকিল নোটিশ প্রদান করলেও সে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ের তিনি খায়রুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-সি. আর- ১৮০৩/২২। মামলায় আদালত ২/২/২৩ইং তারিখে খায়রুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করে এবং ১৪/০৩/২৩ তারিখে সেটা তামিল করার জন্য ঈশ্বরদী থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশ আদালতের আদেশ পালন না করায় চতুর খায়রুল ইসলাম বিপুল টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালত থেকে কৌশলে জামিন নেন জানিয়ে সাইদুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে টাকা ফেরত না দিয়ে খায়রুল ইসলাম বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে তাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে এ কে এম সাইদুল ইসলাম আরও বলেন, সু-সম্পর্ক্য থাকলে মানুষের উপকার করে এত বড় ক্ষতির শিকার হতে হয় আমি বা আমার পরিবার তার অন্যতম উদাহরণ। ঈশ্বরদীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমাদের পরিবারের অবদান কি তা সকলেই জানেন। অথচ আমাদের সাথেও প্রতারণা করতে এতটুকুও কুন্ঠা বোধ করলো না প্রতারক খায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, যতদুর জানতে পেরেছি, স্বপ্নদ্বীপ রির্সোট তৈরি করে সেখানে নানা ধরণের অবৈধ এবং অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন খায়রুল ইসলাম। অথচ সেখানে বেড়াতে আসা প্রশাসনের কতিপয় উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ছবি তুলে সেটি প্রচার করে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখান তিনি। আমিও বাদ যায়নি তার ভয়-ভীতি দেখানো থেকে। বর্তমানে আমার পাওনা টাকা ফেরতের জন্য বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও টাকা ফেরত দিচ্ছে না খায়রুল ইসলাম। ঈশ্বরদী তথা বাংলাদেশের কোন মানুষ যেন প্রতারক খায়রুল ইসলামের খপ্পরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকারও আহবান জানান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।
Leave a Reply