শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংসন ষ্টেশন থেকে খুলনা ও যশোরের বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন প্ল্যাটফরমে ‘আমরা ঈশ্বরদীবাসী’র ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আলহাজ্ব আসাদুর রহমান বীরু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক শহিদুল হাসান ববি সরদার, সাংবাদিক তৌহিদ আক্তার পান্না, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ, ঈশ্বরদী উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মফিকুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মাসুদ রানা, উপজেলা যুবলীগ নেতা মিলন চৌধুরী, রেল শ্রমিকলীগ নেতা সাঈদ ইকবাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিশাত জামান অমি, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন, মানবাধিকার কর্মী সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শেখ ওয়াহেদ আলী সিন্টু, প্রথম সকাল’র সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, পদ্মার খবরের সম্পাদক আমিরুল ইসলাম রিংকু, সাপ্তাহিক সময়ের ইতিহাস’র সম্পাদক শেখ মহসিন, ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি রিফাজ বিশ্বাস লালন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ফেরদৌস, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাংবাদিক মামুনুর রহমান মামুন প্রমূখ।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ঈশ্বরদী একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংসন স্টেশন। এতদিন সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনা ও যশোরের বেনাপোল থেকে ঈশ্বরদী স্টেশন হয়ে ঢাকায় চলাচল করতো। এই ট্রেন দু’টিতে ঈশ্বরদী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েক’শ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করতো। সম্প্রতি এই দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে ঈশ্বরদীসহ এই অঞ্চলের মানুষ ওই দুই ট্রেনে চলাচল করতে পারবে না। বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা না করে আন্তঃনগর ট্রেন দু’টির রুট বাতিল করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবী জানান বিক্ষোভকারীরা। ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের ব্যবস্থা করতে হবে, অন্যথায় ঈশ্বরদীবাসী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।
সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ম্যানেজার শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে এই দুটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। ফলে ঈশ্বরদী রুটের অন্য স্টেশনে এ ট্রেন চলাচলের সুযোগ নেই। দুই ট্রেনের পরিবর্তে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে (৩ কিলোমিটার দুরে) ধুমকেতু ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এছাড়া বাইপাস ষ্টেশনে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়েছে। মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটিও ঈশ্বরদীতে যাত্রাবিরতি দেবে। পাবনা থেকে একটি ট্রেন ঢাকা চলাচলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। এটিও ঈশ্বরদী স্টেশন হয়ে চলাচল করবে। ফলে সুন্দরবন ও বেনাপোলের পরিবর্তে ঈশ্বরদী থেকে চলাচলকারীরা অন্য ট্রেনে চলাচলের সুবিধা থাকছে।
Leave a Reply