পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে টানা পাঁচ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব শামসুর রহমান শরীফ ডিলু’র চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী আজ (২ এপ্রিল) মঙ্গলবার। চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঈশ্বরদী শহরের আলীবর্দী সড়কের নিজ বাসভবন এবং গ্রামের বাড়ি লক্ষীকুন্ডায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে কবর জিয়ারত, কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। পাবনা-৪ আসনের বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ তার সন্তান। পিতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
২০২০ সালের ২ এপ্রিল বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানীর বে-সরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক মন্ত্রী, বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ইন্তেকাল করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, শামসুর রহমান শরিফ ডিলু পাবনা জেলা স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র থাকাবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে প্রথম গ্রেফতার হন। তারপর প্রত্যক্ষভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে তিনি ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তারপরই তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ক্রমান্নয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও পরে ২০০৫ সালে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকারের আমলে টানা ৫ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন এবং এরশাদ সরকারের আমলেও তাকে কারাবরণ করতে হয়।
জানা গেছে, ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে প্রথম বার আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থী আব্দুল বারী সরদারের কাছে পরাজিত হন। এরপর ১৯৮৬ সালের নির্বচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও ভোট কারচুপির অভিযোগে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন না পেলেও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে তিনি পাট ও বস্ত্র বমন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হলেও এই আসন থেকে তিনি আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি টানা তৃতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ৫ম এমপি নির্বাচিত হন।
Leave a Reply