গিয়াস উদ্দিন ফিরোজকে গ্রেপ্তার ষড়যন্ত্রমূলক ও অনাকাঙ্খিত দাবি করে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ফিরোজের এই অনাকাঙ্খিত গ্রেপ্তারে পরিবারের সদস্যরা স্তম্ভিত ও উদ্বিঘœ। তারা হতাশ এবং অসহায়বোধ করছেন। বিষয়টি রহস্যজনক বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রেপ্তার ফিরোজের ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় ফিরোজের মা আজেদা বেগম, ভাই খায়রুল ইসলাম, আত্মীয় জুবায়ের আহমেদ, পাতা বেগম, হাফিজুল ইসলাম, গোলাম রসুল প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত ৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীর ইস্তা চরপাড়ার বাড়ি থেকে একদল পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে। কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, আমার নামে কোনো মামলা আছে জানা নেই বললেও ফিরোজকে তারা জামার কলার ধরে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এ সময় ওয়ারেন্টের কপি চাইলেও পুলিশ তা দেখাতে পারেনি। জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তাৎক্ষণিক থানায় এলে এএসআই আফজাল হোসেন ওয়ারেন্টের একটি কপি দেখান। সেই কপিতে দায়রা নং-৪৬৮৫/১৬, ঢাকার কতমতলী থানার মামলা নং-৬৮(৯)১৬, ধারা ১৯৭৮ সালের আর্মস এক্ট ১৯-বি। ২০১৬ সালে করা মামলটির ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারিতে। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত আসামী ফিরোজকে মামলা সম্পর্কে অবহিত করা হয় নাই। পুলিশ বা আদালত থেকে কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। এর আগে এই মামলায় ফিরোজ গ্রেপ্তার হননি অথবা জামিনেও ছিলেন না। আদালত থেকে ফিরোজ কোনো পরোয়ানা পাননি এমনকি অমান্যও করেনি। যে মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো তা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়নি। সুতারং আমরা মনে করছি মামলার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র লুকায়িত আছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, গিয়াস উদ্দিন ফিরোজকে গ্রেপ্তার ষড়যন্ত্রমূলক। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ, মহামান্য আদালত, মানবাধিকার সংগঠনসহ গণমাধ্যমকর্মীদের যথাযথ ভূমিকা রাখা এবং পরিবারের পক্ষ থেকে ফিরোজের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।
Leave a Reply