ঈশ্বরদীতে তীব্র তাপদাহ আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। দিন-রাত মিলিয়ে ৮/১০ বার বিদ্যুৎ এর লোডসেডিং চললেও আপাতত: এ থেকে পরিত্রানের কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। শহরের অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভাল হলেও গ্রামের অবস্থা চরম নাজুক। সেখানে বিদ্যুৎ যায় না, আসে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক ক্ষুদ্ধ গ্রাহক। তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পুরো ঈশ্বরদী জুড়েই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৫ দিনের চলমান তাপদাহের মধ্যে গত ৪/৫ দিন ধরে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এর প্রতিকার না হলে যে কোন সময় বিষ্ফোরন হতে পারে বলেও অনেক গ্রাহক মন্তব্য করেছেন। সাধারণ গ্রাহকরা জানান, তীব্র তাপদাহে এমনিতেই জনজীবনে নাভিশ্বাস। প্রতিদিনই ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে ঈশ্বরদীতে। তার উপর যোগ হওয়া বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি যেন মরার উপর খাঁড়া ঘাঁ হয়ে উঠেছে। এসব কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঈশ্বরদীর সর্বস্তরের মানুষ। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে রোদ ও গরমের তীব্রতা। খুব বেশি দরকার না হলে সাধারণ মানুষ বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছে না। কিন্তু বাড়িতেও তো থাকার উপায় নেই। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সেখানেও ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। গত এক সপ্তাহ ধরেই ঈশ্বরদীর প্রতিটি এলাকায় তীব্র বিদ্যুৎ সংকট দেখা গেছে।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি করে। কিন্তু অদৃশ্য কারনে ঈশ্বরদীতে দিনের পর দিন খারাপের দিকে যায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে না ঈশ্বরদীতে। ফলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কলকারখানা নিয়ে চরম ভাবে বেকায়দায় পাড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর বাসা বাড়িতে তো বিদ্যুৎ যায় না আসে। বিদ্যুতের ভেল্কি বাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাড়ির গৃহবধূরা। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ গ্রাহকরা। এদিকে শহরের তুলনায় গ্রামের অবস্থা বেজায় খারাপ। মূলাডুলি ইউনিয়নের চুলটি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিল জানান, তাদের এলাকায় ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ থাকে ৫/৬ ঘন্টা। বার বার অভিযোগ জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। একই অভিযোগ করেন, আরামবাড়িয়ার গোপালপুর গ্রামের জমসেদ আলী। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ যায়না, আসে। এছাড়াও একই অভিযোগ দাশুড়িয়া, সলিমপুর, সাহাপুর, পাকশী, সাঁড়া ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।
Leave a Reply