ঈশ্বরদীতে তীব্র দাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বাতাস প্রশান্তির হলেও তা মনে হচ্ছে আগুনের হল্কা। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ঈশ্বরদীতে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পাবনার ঈশ্বরদীতে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমের চলমান পক্ষকালের অধিক সময় তীব্র তাপদাহ বিরাজ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। ফলে কার্যত ঈশ্বরদীর জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
তীব্র তাপদাহে মানুষ যখন হাসফাঁস করছে ঠিক সেই সময় যোগ হয়েছে বিদ্যুতের বেসামাল লোডসেডিং। রাত-দিন মিলিয়ে কতবার যে বিদ্যুতের চোর-পুলিশ খেলা চলে তার ইয়াত্ব নেই। এসব কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগামী বেশ কয়েকদিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস।
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে এই আদেশ কার্যকর করা হচ্ছে।
সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত একই মাত্রায় থাকছে এই অসহ্য তাপদাহ। মাথার ওপর নীল আকাশটা যেন গরম কড়াই। তাই দুপুর গড়াতেই পথ-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। বাইরে বের হলেই মনে হচ্ছে অগ্নিকুন্ড। গরমে উপজেলাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঘর থেকে বের হলেই গরম বাতাস বিধছে আগুনের মতো। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাহিরে যাচ্ছেন না। রাস্তা-ঘাট ফাঁকা। শহর থেকে গ্রাম, কোথাও যেন স্বস্তি নেই। গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ দুঃসহ অবস্থানের মধ্যে রয়েছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রন্জন জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় এ মৌসুমে ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ ৪৩.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত শুক্রবার ঈশ্বরদীতে ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে জারি করা হয়েছে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট।
Leave a Reply