ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের একদিন পর জিহাদ হোসেন (৯) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ জুলাই) ভোরে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনসিদপুর তেঁতুলতলা গ্রামস্থ পরিত্যক্ত খাদ্য গুদামের ঝোপের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। নিহত জিহাদ হোসেন মুনসিদপুর গ্রামের প্রবাসী হাসেম আলীর ছেলে ও দাশুড়িয়া কিন্ডারগার্টেনের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
জিহাদ হোসেনের বড় ভাই শুভ সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকালে তেঁতুলতলা পরিত্যক্ত খাদ্য গুদামের কাছে সহপাঠীদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে খেলাধুলা করছিল জিহাদ। আমি তাকে বৃষ্টিতে না ভিজে বাড়ি চলে যাওয়ার কথা বলে সেখান থেকে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে গিয়ে দেখি জিহাদ নেই। পরে তেঁতুলতলা গোডাউনের কাছে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। রাত ১২টার দিকে তেঁতুলতলা গোডাউনের ভেতরে জিহাদের হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পাওয়া যায়। শনিবার ভোরে গোডাউনের ঝোপের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় পাটিতে জড়ানো জিহাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসিফ (২৩) নামের এক বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
দাশুড়িয়া কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক আফজাল হোসেন খান বলেন, জিহাদ নিখোঁজের খবর শুক্রবার রাতেই শুনেছি, শনিবার ভোরে জানতে পেলাম তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমি জিহাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। জিহাদ আমার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত শিশু জিহাদের মা শিউলী খাতুন বাদী হয়ে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
Leave a Reply