জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ বা শোকের মাহাত্ব অনুধাবন না করেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ভাবে বিভিন্ন দিবস পালন করে একের পর পর নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা। গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীতে শোক পতাকা (কালো পতাকা) বাদেই উত্তোলন করেন জাতীয়সহ দলীয় পতাকা। শোক দিবসের কর্মসূচীতে শোক পতাকা উত্তোলন না করেই কর্মসূচী পালন করায় বাবলু মালিথার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। শোক পতাকা বাদে অন্যসব পতাকা উত্তোলনের সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে ভাইরাল করে দেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তীব্র সমালোচনা হয় পুরো ঈশ্বরদী জুড়েই।
অপর দিকে গত ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলে সুলমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের আয়োজনে কেরাম বোর্ডে (জুয়ার বোর্ড) কেক কেটে সেই সময় তুমুল বিতর্কের ঝড় তোলেন বাবলু মালিথা। সেই ছবিসহ সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এছাড়াও দলীয় চেয়ারম্যান হলেও বিভিন্ন কর্মসূচীতে অনুপুস্থিতসহ দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে বাবলু মালিথার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শনিবার (২৮ আগষ্ট) বিকাল ৪টায় সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে বিশেষ জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম মালিথা, সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক নায়েক এম এ কাদের স্বারিত চিঠি দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সুত্র জানায়, আলোচনা সাপেে বিভিন্ন বিতর্কিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাবলু মালিথাকে বহিস্কার করা হতে পারে।
দলের একাধিক নেতা জানান, বাবলু মালিথা আওয়ামীলীগ করেন না। সে দলের সুবিধাভোগী নেতা। বাবলু মালিথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে না জন্যই কেরাম বোর্ডে (জুয়ার বোর্ড) কেক কাটে। আর যেই ১৫ আগষ্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমানসহ তার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হল সেই জাতীয় শোক দিবসে তিনি কিভাবে শোক পতাকা উত্তোলন না করে কর্মসূচী পালন করলেন তা বোধগম্য হয় না। এজন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এবিষয়ে আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা বলেন, পতাকা উত্তোলনের সময় শোক পতাকাটি ব্যাগে না থাকায় সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এক দর্জিকে দ্রুত একটি শোক পতাকা তৈরি করতে দেয়া হয়। সে সময় উপস্থিত অন্যান্য নেতাকর্মীরা দেরি হওয়ার জন্য বলেন, পরে শোক পতাকা উঠালেও হবে বলে তাদের দাবিতে শোক পতাকা ছাড়াই অন্য পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৩০ মিনিট পর শোক পতাকা আলাদা করে উত্তোলন করা হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্যদিকে কেরাম বোর্ডে কেক কাটার ঘটনাটি অনেক পুরোনো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসব বিষয়ে দলীয় মিটিং এর বিষয়ে তিনি বলেন, এটা দলীয় কোন মিটিং নয়, এটা কাদেরের মিটিং!
Leave a Reply