রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ (আরএনপিপি) বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরী দেওয়ার নামে কয়েক’শ যুবকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন প্রতারককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী শহরের সোনালি ব্যাংক সংলগ্ন কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে পাবনা ডিবি ও ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃত প্রতারকরা হলেন ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের উত্তর বাঘইল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ফাবিয়া এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, নাটোর জেলার লালপুর থানার দিলালপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল ইসলাম ও উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের সাঁড়া ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত দেলবার হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঈশ্বরদী থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম জানান, বিগত তিন বছর ধরে আটককৃত ব্যক্তিরা বেকার যুবকদের চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত করে আসছিলো। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের প্রমান পাওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করা হবে।
থানা ও একাধিক সুত্র মতে, ফাবিয়া এন্টারপ্রাইজ লিঃ নামে ভুয়া প্রতিষ্টান খুলে আটক প্রতারকরা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প (আরএনপিপি) সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরী দেওয়ার নামে বেকার যুবকদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের অফিস থেকে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র ও সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের জন্মসনদের জাল কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কারণ প্রশংসা পত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক হিসেবে আবুল হোসেনের নাম লেখা ও স্বার করা হয়েছে। অথচ তিনি প্রায় ১৫ বছর পূর্বে অবসরে গেছেন। বর্তমান প্রধান শিকের না রণজিত কুমার বিশ্বাস। সুত্রগুলো আরো জানায়, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু পরিষদ থেকে এখন আর হাতে লেখা কোন জন্মসনদ দেওয়া হয় না। জন্মসনদের ফটোকপির উপর হাতে লিখে প্রতারক চক্রটি ব্যবহার করতো।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হাতে লেখা কোন জন্মসনদ প্রদান করা হয় না। এখন সরাসরি ডিজিটাল জন্মসনদ প্রদান করা হয়। যা নিতে হলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বারের সুপারিশে আবেদনের মাধ্যমে নিতে হয়। আটককৃতরা প্রতারণার মাধ্যমে জাল জন্মসনদ ব্যবহার করতে পারে বলে মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান।
Leave a Reply