ঈশ্বরদীর মুলাডুলিতে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সে সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে প্রায় ৫ শতাধিক ফলন্ত কলার গাছ ও প্রায় ১ বিঘা জমির ফলন্ত শিম গাছ কেটে সাবাড় করে এলাকায় মধ্যযুগীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার সময় বাড়ির পুরুষ সদস্যরা না থাকায় মহিলারা এগিয়ে এলে ধারালো রামদা, হাসুয়া ও পিস্তলসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আক্রোমন চালানো হয়। বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় পুরো গ্রামে শুনশান নিরবতা। চারদিকে অজানা আতংক। গ্রামের মানুষগুলো জটলা ধরে হামলার বিষয় নিয়ে বলাবলি করছে। শত শত ফলন্ত কলার গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। সাংবাদিকদের দেখে লোমহর্ষক সন্ত্রাসী হামলার বর্ণনা দেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মহিলা সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোঃ ফারুক হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ সেলিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামীর সাথে একই এলাকার সাবেক মেম্বার আবু বক্কার সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান মজনু’র জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। সেই বিষয়ে পাবনা আদালতে মামলা চলছে দীর্ঘদিন থেকে। প্রায়ই মিজানুর রহমান মজনু আমাদের জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই মিজানুর রহমান মজনু’র নেতৃত্বে তার ভাই ফজলুর রহমান ফজলু (৪০), আজিজুর রহমান আরজু (৩৫), চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর সরদার (৫৫) ও ভাতিজা রাসেল (২৫) সহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ধারালো রামদা, হাসুয়া ও পিস্তলসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আক্রোমন চালানো হয়। মুহুর্তের মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে প্রায় ৫ শতাধিক ফলন্ত কলার গাছ ও প্রায় ১ বিঘা জমির ফলন্ত শিম গাছ কেটে সাবাড় করে এলাকায় মধ্যযুগীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীরা। সে সময় পরিবারের সদস্য মোছাঃ সেলিনা খাতুন (৪৫), সাবিহা খাতুন (৫৫) ও মোছাঃ রুবিয়া খাতুন (৪২) কে মারধর এবং বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে গলায় রামদা ধরে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।
Leave a Reply