ঈশ্বরদীতে সিদ্দিকুল ইসলাম (৭০) নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক সিরাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল শহীদ পাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যাতায়াতের জন্য তাঁর পৈত্রিক ২২ শতাংশ জমি রাস্তা হিসেবে ছেড়ে দেয়। সেই জমির বিনিময়ে তার (সিদ্দিকুল ইসলাম) বাড়ি সংলগ্ন বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের ওয়ার্কফকৃত ১৫ শতাংশ জমি তৎকালীন মোতওয়াল্লী ইউসুফ আলীর (ইউসুফ চেয়ারম্যান) মৌখিক চুক্তিতে ভোগ দখলে নেয়। পূর্বপুরুষের বংশ পরম্পরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুল ইসলাম ওই জমিটি ভোগ দখল করে আসছিলেন। সেই জমিতে তিনি মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি সেই গাছ তিনি কর্তন করলে বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক সিরাজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে লিখিত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ স্থানীয়ভাবে অপমান, অপদস্ত করেন। পরবর্তীতে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাকে নানা ভাবে হেনস্থা করে।
কান্না জড়িত কন্ঠে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমার অনেক অবদান রয়েছে। আমি সব সময় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। অথচ এই দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক মিথ্যা অভিযোগে আমার নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চলাচ্ছে। আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে আমাকে হেনস্থা করছে। আমি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনার বিচার দাবী করছি।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, লিখিত চুক্তি না থাকায় সিদ্দিকুল ইসলাম গাছ কেটে অপরাধ করেছেন। তাই ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।
Leave a Reply