ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, খুলনা-মংলা রেললাইন চালু হলে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি সোমবার দুপুরে খুলনা-মংলা রেল প্রকল্পের রূপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা রূপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ভারতীয় হাই কমিশনার বাংলাদেশ রেলওয়েকে ২০১৯ সালের মধ্যেই খুলনা-মংলা রেল লাইনের কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, খুলনাতে উপ-ভারতীয় দূতাবাস স্থাপনের কাজ চলছে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের অর্থনীতিতে যেমন প্রভাব ফেলবে তেমনি দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
রূপসা রেল সেতুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন ম্যানেজার সুব্রত জানা বলেন, ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ৩৮০১.৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেল সেতুর নিমার্ণ কাজ করছে।
তিনি জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেল সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও আর্থিক উপদেষ্টা ড. সুমিত জেরথ, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (অবকাঠামো) ড. পঙ্কজ সিং, ঢাকাস্থ ভারতের উচ্চ কমিশনের প্রথম সচিব রাজেশ ইউক (টরশব), ভারতের উচ্চ কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (বাণিজ্যিক) শ্রী শিশির কোথারি, ভারতবর্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) ভিপুল কুমার মেসারিয়া, ভারতের হাই কমিশনের এপিডব্লিউও শ্রী মনোজ কুমার যাদব, ভারতের উচ্চ কমিশনের এসএ শ্রীমতি প্রেম বাহাদুর, বাংলাদেশ রেলওয়ের জিএম ও পিডি মো. মজিবর রহমান, পিএমও’র ডিজি শ্রী সুব্রত রায়, খুলনা জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মনিরুজ্জামান।
Leave a Reply